বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেশ প্রতিনিধি ডোমেনিকো স্কালপেলি এবং জাতিসংঘ নারী সংস্থার দেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
গতকাল অপরাহ্নে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাতে দুই কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সাথে খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও নারী উন্নয়ন বিষয়ে বিশদ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে মানুষকে উৎসাহিত করা ও জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিকে সেমিনার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি হাতে নিতে আহবান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সেই সাথে তিনি বলেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ জনঘনত্ব আর সর্বনিম্ন মাথাপিছু জমির বাংলাদেশে খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আবাদযোগ্য জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিকল্প নেই। মালিকানা চিহ্নিত করতে জমির মধ্যে ‘আল’ দেওয়ায় বহু জমি চাষের আওতা থেকে বাদ পড়ে যায়। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার বিষয়েও ডব্লিউএফপি’কে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন মন্ত্রী। ডব্লিউএফপি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডোমেনিকো স্কালপেলি বিষয় দু’টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলে জানান। এ সময় তিনি মন্ত্রীকে বিদ্যালয় পর্যায়ে ও রোহিঙ্গাদের জন্য তার সংস্থার খাদ্য কর্মসূচির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ২০১১ সাল থেকে পরিচালিত স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম ও পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপি’র খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংয়ের সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং তার সরকারের অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির চিত্রও তুলে ধরেন। এই উন্নয়নযাত্রায় বিশ্বস্ত অংশীদার হওয়ার জন্য ইউএন উইমেনের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। বাংলাদেশে জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং বাংলাদেশের সাথে জাতিসংঘের নারীদের সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন এবং সরকারকে তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অভিনন্দন জানান।জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি এ সময় ২০২৫ সালে ‘বেইজিং ঘোষণা’র ত্রিশতম বার্ষিকী এবং ঐতিহাসিক রেজুল্যুশন ১৩২৫-এর রজতজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতির বিষয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।