দিনাজপুরে চালের বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২০০ টাকা

বিপাকে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরে দিন দিন চালের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ২০০ টাকা। শস্যভান্ডারখ্যাত উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরে আবারো চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। জেলায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে অন্তত ৪ টাকা করে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এক সপ্তাহ আগে দিনাজপুরে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গুটি স্বর্ণ গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা কেজি, বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। আঠাশ চাল ছিল ৫৪ টাকা কেজি, এখন তা ৫৮ টাকা। ঊনত্রিশ চাল গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা কেজি, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার হলো বাহাদুর বাজার। সেখানেও সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা করে বেড়েছে। বস্তাপ্রতি ৫০ কেজি চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে টাকা পর্যন্ত। জেলার পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মিল থেকেই বেশি দাম চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এই চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা আরো বলেন, ‘দিনাজপুরে চালের দাম একবার বাড়লে আর কখনোই কমে না। বাজারে মনিটরিং না থাকায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’ হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের। মিল ও পাইকারি দোকানে নিয়মিত অভিযান চালালে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলেও জানান তারা। চাল কিনতে আসা শফিক নামে এক অটোরিকশার চালক বলেন, ‘সারা দিন অটো চালিয়ে যা আয়-রোজগার হয়, তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে।’ দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হুমায়ুন রেজা শামীম জানান, ‘দিনাজপুরের হাটবাজারে চালের সরবরাহ নেই। মিল মালিকরা চাল কিনতে পারছেন না। সামনে ইরি ধান উঠলে চালের দাম কিছুটা কমবে। ধান না উঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

রমজানে হুট করেই চালের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরাও। তারা বলেছেন, পাইকারি ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের মধ্যে মজুতদাররা দাম বাড়ানোর পেছনে জড়িত। খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘দাম বাড়ানোর পেছনে অবৈধ মজুদদারদের হাত রয়েছে।’ পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে।