জাবিতে ঘুরতে এসে ছিনতাইয়ের শিকার চার স্কুলছাত্র

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী কর্তৃক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বহিরাগত চার স্কুলছাত্র। ভুক্তভোগীদের দাবি তাদের আটকে রেখে মারধর এবং ছিনতাই করেছে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে বুধবার দিবাগত রাত ১১টায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এদিন বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান রাফি। অন্যদিকে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস ও দুর্জয় সরকার। তারা সবাই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তারা দুটি বাইক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসে তাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর আরো তিনজন এসে তাদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। সেখানে তাদের আটকে রেখে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে দেন। এছাড়া তাদের ১৫ হাজার টাকার একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্রাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা ও ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। আমরা এরই মধ্যে নিরাপত্তা শাখায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছি, ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।