আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। বিশ্বের ১৯১টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করবে। বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিবসটি। ১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্মান্তরে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির ভবিষ্যত’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বানীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সাথে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল ২৩ মার্চ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে অপর এক বানীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে।
তিনি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আগামীকাল শনিবার (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য,- ‘এ্যাট দ্যা ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট এ্যাকশন’ যথোপযুক্ত, সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বদ্বীপ পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভে সক্ষম হবে।