ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দখলে আ.লীগ-বিএনপি একাট্টা

মহেশখালীতে প্যারাবন কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের

প্রশাসনের অভিযান, জরিমানা
মহেশখালীতে প্যারাবন কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের

কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিমে ঘটিভাঙা এলাকায় প্যারাবন কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়িঘের তৈরি করে আসছে একটি চক্র। গত কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় প্যারাবনের প্রায় ২০০ একর জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি একাট্টা হয়ে চিংড়িঘেরের জন্য খননযন্ত্র এস্কাভেটর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা আসছে। ওই স্থানে কাটা হয়েছে প্যারাবনের অন্তত কয়েক লাখ বাইনগাছ।

গতকাল শনিবার প্যারাবন কেটে নদীর চর দখল করে লবণ মাঠ ও চিংড়ী ঘের তৈরির সময় অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ওই সময় প্রশাসনের তাড়া খেয়ে দখলবাজচক্র পালিয়ে গেলে গড়ে ওঠা চিংড়িঘেরের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তাছবীর হোসেন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙা চ্যানেলে শ্রমিক দিয়ে প্যারাবন নিধন করে খননযন্ত্র এস্কাভেটর দিয়ে মাটি কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণের জন্য বাঁধ তৈরি করছিল একটি দখলবাজচক্র। গতকাল মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিকি মারমার নেতৃত্বে কোস্ট গার্ড, পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। ওই সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে প্যারাবন নিধনকারীরা পালিয়ে গেলেও বন নিধনযজ্ঞের বেশ কিছু আলামত ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ সময় গড়ে ওঠা চিংড়িঘেরের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তাছবীর হোসেন বলেন, অভিযান পরিচালনাকালীন অবৈধভাবে এস্কাভেটর দিয়ে ভূগর্ভের মাটি উত্তোলন ও প্যারাবন ধবংস করে নতুন করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এ দুইজনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মহেশখালীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এ প্যারাবনকে বনদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন মহেশখালীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে স্থানীয় সূত্র মতে, অবৈধভাবে গড়া ওঠা চিংড়িঘেরের অভিযান পরিচালনা করা হলেও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে পারেনি অভিযানিকদল। সব দখলবাজচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত