সিরাজগঞ্জে অনুর্বর জমিতে উন্নত জাতের তুলা চাষ করে দিন দিন লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। যেসব জমিতে ভালো শস্য হয় না, সেই সব জমিতে চাষ হচ্ছে তুলা। বেশি লাভজনক হওয়ায় সিরাজগঞ্জের কৃষকরা তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। স্থানীয় তুলা উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গড়ে প্রায় ১২ মন তুলা উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কালিন্জা গ্রামেই প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে তুলার চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা চাষকৃত তুলা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তুলাচাষি রায়গঞ্জ উপজেলার কালিনজা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো দামে তুলা বিক্রি করতে পারব। কামারখন্দ উপজেলার মধ্য ভদ্রঘাটের চাষি মো. মোতালেব বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে কার্পাস তুলা চাষে খরচ অন্যান্য ফসরের চেয়ে খরচ কম। এ ছাড়া তুলা চাষের জন্য সরকারিভাবে বীজ, সার ও ওষুধ দেওয়া হয়। তুলা উঠতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগে। বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় প্রায় ১০ মন। একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান, এ বছর তুলার ফলন ভালো হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে তুলা উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ মণ। প্রতিমণ তুলা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। শ্রী উজ্জ্বল চন্দ্র বাজার ভদ্রঘাট কটন ইউনিট বগুড়া জোন জানান, অনুর্বর জমিতে তুলা চাষে আগ্রহী করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে চাষিদের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিমণ তুলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চাষিদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছে। এ বছর তুলার ফলনও খুব ভালো হয়েছে।