শীত এলেই চুল যেন আর মাথায় থাকতেই চায় না। বাড়তে থাকে চুল পড়া। সেসঙ্গে আছে চুলের আগা ফাটা, খুশকি, রুক্ষতা তো আছেই। চুলের যত্নে বাজার চলিত রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার না করে অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকায়। এমনই একটি উপাদান অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। ওজন কমাতে অনেকেই এই উপাদানটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে চুলের জন্যও এটি বেশ উপকারি। চলুন জানা যাক চুলের যত্নে কীভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন-
চুলের আগা ফাটা কমাতে : সঠিকভাবে পরিচর্যা না করার কারণে চুলের আগা ফাটতে শুরু করে। ফলে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়। চুলের আগা ফাটতে শুরু করলে বাধ্য হয়েই ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু কেটে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু করার পর অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে চুলের আগায় ভালো করে স্প্রে করে নিন। কিছুক্ষণ পর চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের আগা ফাটা কমবে।
চুল মসৃণ করতে : অতিরিক্ত দূষণ, কাজের চাপ আর ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার কারণে চুল ক্রমশ রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। হারাচ্ছে চুলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য। এই রুক্ষভাব দূর করতে ভরসা রাখতে পারেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের ওপর। শ্যাম্পুর সঙ্গে দুই চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এভাবে শ্যাম্পু করলে চুল হবে কোমল ও মসৃণ।
খুশকি দূর করতে : শীতে অনেকেই খুশকির যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যান। এই সমস্যা দূর করতে একটি পাত্রে সমপরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আর পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তুলোর সাহায্যে এই মিশ্রণ মাথার তালুতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই নিয়ম মেনে চললে খুশকির সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে উপকার না মিললে একজন ভালো ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।