কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্রের একটির বাহিনী প্রধান ‘ডাকাত শাহ আলম’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সদরের সমুদসৈকত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।
শাহ আলম (৩৬) টেকনাফের রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া এলাকার মো. আবদুল মজিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে টেকনাফ থানায় খুনসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, টেকনাফের অপহরণ প্রতিরোধ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এর জের ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ডাকাত শাহ আলম কক্সবাজার সদরের সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতা গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্রের একটি বাহিনী প্রধান শাহ আলম। জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম জানিয়েছে রঙ্গিখালি এলাকায় গহীন পাহাড়ে ৪০-৫০ জনের একটি অপহরণ চক্র গড়ে তুলে সাম্প্রতিক অপহরণগুলোর মূল ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে গহিন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। ওসি জানান, গ্রেপ্তার শাহ আলমকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের পরিবারের তথ্য বলছে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে ২২ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও পুলিশ অপহরণ ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫ জনই রোহিঙ্গা। মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্র এবং মাদ্রাসার ছাত্রের অবস্থান পুলিশ শনাক্ত করেছে। এ ব্যাপারেও একটি শুভ বার্তা পুলিশ দ্রুত দিতে পারবে।
এদিকে, অপহরণকারী সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোর্শেদ ও হেলালকে গ্রেপ্তারে মরিয়া হয়ে অভিযান অব্যাহতে রেখে পুলিশ। এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে এই অপহরণের ঘটনায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।