নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনে কে এলো কে এলো না, সেটা ইসির দেখার বিষয় নয়। যারা নির্বাচনে আসবে তারা জনগণের মন জয় করে নির্বাচন করবে। তবে নির্বাচনের সময় এলেই বুঝা যাবে কে এলো আর কে এলো না। গতকাল সকালে রংপুরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রংপুর বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিক প্রসঙ্গে ইসি বলেন, সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা আছে, তারা তা মেনে চলবেন। সাংবাদিকরা নির্বাচনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সংবাদ পরিবেশন করবেন। কে আসল সাংবাদিক আর কে ভুয়া সাংবাদিক এটা চিহ্নিত করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের বা সাংবাদিক সংগঠনগুলোর। প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন আছে তারা এ সমস্যার সমাধান করবে। আমাদের বিচার বিভাগে সমস্যা হলে আমরা আমাদের বিভাগের বিচার করব। সেরকম আপনাদের কাজ আপনাদের করতে হবে। আর নির্বাচনে আমরা সাংবাদিকদের পাশ দেব, যারা পাশ পাবে তারাই নির্বাচন পরিদর্শন করবে। নচেৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা প্রভাব বলতে কিছু বুঝি না। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। যারা নির্বাচন আইন বহির্ভূত কাজ করবে তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে। আশা করব কেউ প্রভাব বিস্তারে কাজ করবে না। আপনারা সাংবাদিকরা অন্যায় টাকে তুলে ধরবেন আমরা ব্যবস্থা নেব।
ইভিএম প্রসঙ্গে ইসি বলেন, ইভিএমে ভোটের অবস্থানে আমরা নেই। ইভিএম সচল থাকলেও ইভিএমে ভোট নেয়া সম্ভব নয়।
রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি পঙ্কজ চন্দ্র রায়। এ সময় রংপুর বিভাগের সকল জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, আনছান ব্যাটালিয়নসহ সিভিল-গোয়েন্দা সকল বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।