নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা
সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে চার লেন চালু : ঈদযাত্রায় স্বস্তি
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে চার লেন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ দিকে।
এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দিন-রাত কাজ করা হচ্ছে। এ কারণে মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বস্তি ফিরছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিমি. মহাসড়কে যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো যাত্রী সাধারণের। প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় প্রায় ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় এ মহাসড়কে তীব্র যানজট। কিন্তু এবার সেই যানজটের আঙ্কা নেই। সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত ২ লেনের মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। এ বছর মহাসড়কের নলকা ব্রিজ, ফ্লাইওভার, নবনির্মিত আন্ডারপাস ও চার লেনের কাজ অনেকাংশে শেষ হয়েছে। এতে স্বস্তি পাবে উত্তরবঙ্গের ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন চালকরা। এ সম্পর্কে চালক ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নীতকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ কাজে অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলছে। বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। ঈদের আগে মেরামত শেষ হলে যানজট হবে না। সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এরইমধ্যে কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করা হয়েছে এবং সিরাজগঞ্জ সওজ বিভাগ চার লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে। বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজটের সৃষ্টি হলেও এবার সেখানে আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর অন্যান্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহাসড়ক পরিদর্শন এবং জেলা পর্যায়ে বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিতকরণের তথ্য রিপোর্ট সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এসব তথ্যর ভিত্তিতে ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেয়ার কথা দিয়েছেন। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়ে ৭০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে। সেইসাথে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।