বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে রিহ্যাবের মতবিনিময়

নির্মাণসামগ্রীর দাম নির্ধারণে মনিটরিং সেল গঠনের দাবি

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে রড, সিমেন্ট ও ক্যাবলসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে সংকটের মুখে পড়েছে আবাসন খাত। ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম আগে থেকেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় মধ্যবিত্তের ফ্ল্যাট কেনা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে আবাসন খাত এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। সেজন্য নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান নির্ধারণে মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাথে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান রিহ্যাবের নেতারা। মতবিনিময় সভায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিহ্যাবের নেতারা বলেন, আবাসন খাতের নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির আগে যেসব প্রকল্প নির্মাণ করা শুরু হয়েছিল, সেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছেন অনেকে। কারণ চুক্তির বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ক্রেতার কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারছেন না। এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের কাছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। মূলত ডেভেলপাররা বিভিন্ন এলাকায় জমির মালিকদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রকল্প হাতে নেয় এবং নির্ধারিত দামে প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতেই তা বিক্রি হয়। ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি থাকায় এখন নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও ফ্ল্যাটের দাম বাড়ানো যায় না। আবার যেসব ফ্ল্যাট অবিক্রীত থাকে, সেগুলোর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাও পাওয়া যায় না। আবাসন খাত আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে। অনেক সময় দেখা যায়, আমদানিকৃত কাঁচামালের দাম বিদেশে কমলেও আমাদের দেশে প্রোডাক্টের দাম কমে না। বিদেশে একটু বাড়লে দেশে লাফ দিয়ে দাম বাড়ানো হয়। আবার দেশে নির্মাণসামগ্রীর মান যাচাইয়ের জন্য কার্যকরী তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই, কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে মান যাচাই করা জরুরি হয়ে পড়েছে। রিহ্যাবের নেতারা নির্মাণসামগ্রীর দাম ও পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য মন্ত্রণালয়, রিহ্যাব, এফবিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করার দাবি জানান। গঠিত সেল থেকে পণ্যের দাম ও মান নির্ধারণ করা হবে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু রিহ্যাবের দাবির বিষয়ে অবগত হয়ে যৌক্তিক দাবি পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।