গরম এখনও ঠিকমতো পড়েনি। তবুও ত্বকের নানা সমস্যা এরইমধ্যে জাঁকিয়ে বসেছে। অনেকেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ঘামাচির সমস্যা। একইসঙ্গে চুলকানির সমস্যা। গরমে ঘামাচি তাড়াতে তাই সবাই জানতে চান ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো কিংবা ঘামাচির ঔষধ, ঘামাচির ক্রিম কোনটি ব্যবহার করবেন? ঘামাচি এক ধরনের চর্মরোগ। একে ইংরেজিতে হিট র্যাশ (Heat Rash) বলা হয়। দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন শরীর থেকে ঘাম বের হতে পারে না। এই ঘাম আটকেই ঘামাচি হয়। এর সঙ্গে চুলকানিসহ নানা সংক্রমণ যুক্ত হয়। বাজারচলতি কিছু পাউডার বা সাবান ঘামাচির সমস্যা দূর করতে পারলেও এতে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে। তাই এগুলো ব্যবহারে জ্বালাভাব কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে। কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে এই সমস্যায় আরাম পেতে পারেন। ঘামাচি হলে করণীয় জানুন-
বরফ : একটি শুকনো কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিন। ১০-১৫ মিনিট ধরে এই বরফ ঘামাচির ওপর ঘষুন। দিনে ৩-৪ বার এই নিয়ম মানলে উপকার মিলবে।
অ্যালোভেরা : ঘামাচি তাড়াতে সিদ্ধহস্ত অ্যালোভেরা। ঘামাচির ওপর আলোভেরার রস লাগান। চাইলে এর সঙ্গে হলুদের রসও মেশাতে পারেন। কিছুক্ষণ রাখে ধুয়ে ফেলুন। ঘামাচি কমবে ধীরে ধীরে।
মুলতানি মাটি : চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ঘামাচির ওপর লাগান। কিছুক্ষণ রেখে শুকিয়ে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। রোজ ব্যবহারে উপকার পাবেন।
চন্দন গুঁড়া : দুই টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন পরিমাণমতো গোলাপজল। ঘামাচির ওপর এই মিশ্রণ লাগান। চন্দনের প্রলেপ ত্বককে ঠান্ডা করে ঘামাচির সমস্যা দূর করবে।
নিমপাতা : অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণসমৃদ্ধ নিমপাতা ঘামাচি উপশমে দারুণ কার্যকর। নিমপাতার রসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির ওপর লাগান। ঘামাচি নখ দিয়ে না চুলকিয়ে তার উপর নিম ডাল বোলালেও আরাম পাবেন।
ঘামাচির ঔষধ : কর্মব্যস্ততার কারণে যদি ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে শরীরে ক্যালামাইন লোশন মেখে নিন। এই লোশন চুলকানিসহ ঘামাচি কমায়। স্বস্তি দেয়। এই গরমে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া এই উপায়গুলো কাজে লাগান আর সুস্থ থাকুন। সেসঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না যেন।