গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এরইমধ্যে ভেঙে পড়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহার ও পানিশূন্যতায় মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে এক হাজার শিশু তাদের এক বা উভয় পা হারিয়েছে। এছাড়া গাজায় প্রতি ঘণ্টায় নিহত হচ্ছে চারটি শিশু। গতকাল লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় অনাহার ও পানিশূন্যতার কারণে মারা যাওয়া শিশুর সংখ্যা বেড়ে এখন ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে। গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসকরা নানা আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন। তারা সতর্ক করে বলেছেন, অত্যন্ত সীমিত সরবরাহ দিয়েই হাসপাতালের ওয়ার্ডে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশু এবং ছোট শিশুদের চিকিৎসা করার চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ফিলিস্তিনি শিশু দিবসের সম্মানে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বেশ কয়েকটি পোস্ট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে একটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘গাজায় ১০০০ শিশু তাদের হয় একটি বা না হয় উভয় পা হারিয়েছে।’ এদিকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েলের টানা ছয় মাস ধরে চলা এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন আহত হয়েছেন বলে গত বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা উভয়ের যে কোনো একজন ছাড়াই বসবাস করছে।