নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামীদিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিরায়িত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। গতকাল ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, আগে স্পিড বোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারন গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে-লোকারণ্য হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আমরা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই। আগে দেখতাম লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য রাত ৮টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা সকাল বেলা এসে লঞ্চে বসে থাকত দুপুরের খাওয়া দাওয়া নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থাটা নাই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিল, যে পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গত বৃহস্পতিবার আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম বললাম এটা এখন একটা ইতিহাস এটা আর ফিরে আসবে না। সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারত না, এখন একটু স্বস্তিতে আছে। নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিকের ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে। মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত ১৫ বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলের কানেকশন হয়, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণঞ্চালবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিলো। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। বন্দরটি হওয়াতে ওই অঞ্চলের সিনারিও পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্মসচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে নৌযান ও ঘাট কর্মীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন।