টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক বলেছেন, বান্দরবানের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট খাতে কোনো ধরনের প্রভাব পরবে না। এসব অঞ্চলে আমাদের যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় টুরিস্ট পুলিশের একটি জোনের কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় আমাদের যৌথ বাহিনী অপারেশন করছেন। এছাড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনার কোনো ধরনের প্রভাব বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট খাতে প্রভাব পরবে না। আগামী পহেলা বৈশাখে সব পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পহেলা বৈশাখেও আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার রূপায়ন সেন্টারে টুরিস্ট পুলিশের জোনটির কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি বলেন, ২০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে আশুলিয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের সাব অফিসের কার্যক্রম শুরু হলো। সাভার আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকায় বেশ কিছু বিনোদন পার্কসহ হোটেল স্পট আছে। আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ এই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটক ও আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। এই নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে ১২৫টি পুলিশ পয়েন্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করে আসছি। যেহেতু সমানে পহেলা বৈশাখ, আমাদের বড় ফেস্টিভ্যাল। এই অনুপাতে আমরা কিন্তু নিরাপত্তা প্লান করেছি। এই প্ল্যানেই সবাইকে সহযোগিতা প্রদান করবো। পাশাপাশি যারা বিনোদন কেন্দ্রে আসবে তাদের সাথে যেন কোনোরকম হেসিং না হয় এবিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক থাকবে। তারপরও যদি পর্যটকদের সাথে কোনো কিছু হয় তাহলে আমাদের জরুরি সেবা নাম্বার আছে কল করে জানালে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব।
এ সময়, সাভার-আশুলিয়া ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ মোঃ মনিরুল হক ডাবলু বলেন, সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাই অঞ্চলে এই ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের আওতায় থাকবে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বদ্ধপরিকর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ ডিভিশনের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু সুফিয়ান, ঢাকা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক পিপিএম, ঢাকা জেলা টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল ও মিডিয়া) মোঃ বদরুল আলম মোল্লা, পিএসসি, ঢাকা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোমেনা আক্তার প্রমুখ।