ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সীতাকুণ্ডে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

সীতাকুণ্ডে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিআইটিআইডি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি দুই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩৯ রোগী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত মার্চের শেষদিকে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত গরম বৃদ্ধি এবং খাবার ও পানির কারণে এবার মার্চের মাঝামাঝি থেকে উপজেলাজুড়ে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে।

প্রথম দিকে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও দিন যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর চাপ। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হয়েছেন ২৭৮ জন। মার্চ মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। এসব রোগীর এক-তৃতীয়াংশই সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, ফৌজদারহাট, জলিল টেক্সটাইল গেট, কালুশাহ নগর, জোড়আমতল, সীতাকুণ্ড পৌর সদর এলাকার বাসিন্দা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১১৪ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে ১২৭ জন রোগী। মার্চ মাসে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ২০০ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। সবশেষ গত চারদিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত ২০ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তারা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৭ রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছে হাসপাতালে। তবে রমজান শুরুর পর তার হাসপাতালে রোগী আগের তুলনায় বেড়েছে। গরমের সঙ্গে বাসি খাবার ও পানীয় খেয়ে অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন বলে জানান তিনি। বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ডায়রিয়া রোগী আগের চেয়ে বেড়েছে। গরমের কারণে এই প্রবণতা বেশি। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত