সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে তিনটি ওভারপাস ও একটি সেতু খুলে দেয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা নেই। যদিও মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরের দিকে ভিডিও কনফারেন্সে ওভারপাসগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উন্মুক্ত করে দেয়া ওভারপাসগুলো হচ্ছে : বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কে মুলিবাড়ী ওভারপাস, পাঁচিলা ওভার পাস, দাতপুর ওভারপাস ও দাতিয়া সেতু। চার লেনের এ ৪টি ওভারপাস ও সেতু খুলে দেয়ায় মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা এখন আর নেই। গতকাল ভোর থেকে ঈদঘর মুখো মানুষের চাপে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল আরো বাড়তে শুরু করে। ওভারপাস খুলে দেয়ায় ঈদে ঘরমুখো উত্তরবঙ্গগামী মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ানো এ মহাসড়কে স্বস্তি ফিরছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন চলাচল নিরাপদ রাখতে দায়িত্ব পালন করছে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। তবে মহাসড়কে জেলা পুলিশের সাড়ে ৭০০ সদস্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত ও টহল জোরদার হয়েছে। সাসেক-২ প্রকল্পের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর চারলেন মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে ৩টি ওভার পাস ও একটি সেতু উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজটের আশঙ্কা নেই। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এম এ ওয়াদুদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, মহাসড়কের সেতুসহ ৪টি ওভারপাস খুলে দেয়ায় পর থেকে উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা নেই। ভোর রাত থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সেতুসহ ওভারপাসগুলো খুলে দেয়ার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে এবং মহাসড়কজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।