ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে গতকাল সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠিতে ব্রজপাতে দুই নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছেন। তারা হলেন হেলেনা বেগম (৪০), মিনারা বেগম (৩৫) ও মাহিয়া আক্তার ঈশানা (১১)। হেলেনা বেগমের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর তালগাছিয়া গ্রামে এবং মিনারা বেগমের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে। আর মাহিয়া আক্তার ঈশানার বাড়ি পোনাবালিয়া গ্রামে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কালবৈশাখির সময় মাঠ থেকে গবাদি পশু আনতে গিয়ে এরা ব্রজপাতে নিহত হন।
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে পিরোজপুর সদর উপজেলাসহ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা। এ সময় পৌর এলাকার শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে একটি ঘরে গাছ চাপা পড়ে রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হয়। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়। গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকার হয়ে পড়ে। শুরু হয় দমকা ও ঘূর্ণি বাতাস। প্রায় ১৫ মিনিটের এ ঘূর্ণিঝড়ে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপরে পড়ে ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্ধ হয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ। ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় একজন নিহত হন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।