ঈদে নারীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল, ইপিজেড, শ্রীপুর, জিরানী বাজার এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাস টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। গতকাল দুপুরের পর থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যাত্রীর ভিড় বাড়তে থাকে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ভাড়াও।
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় নাড়ীর টানে মানুষ ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৯ রোডের যানবাহন চলাচল করে। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।
এদিকে, নবীনগর, বাইপাইলসহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়। মহাসড়কের কিছু দূর পরপরই নিরাপত্তারক্ষা ও যানবাহন সঠিকভাবে পরিচালনায় পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসিটিভি ফুটেজ দ্বারা পর্যবেক্ষণ করছেন। সেই সাথে যানজট নিরসনে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
আশুলিয়া থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যেতে বাইপাইল স্ট্যান্ডে ভিড় করছেন যাত্রীরা। যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ বাসের সারি। এ স্ট্যান্ডে বেশিরভাগ বাসই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় ঈদে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যাবেন শাকিল। সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী তার ভাড়া হওয়ার কথা ৩০০ টাকা করে। তবে বেশ কয়েকটি বাস যাচাই করেও ১ হাজার টাকার নিচে কোনো বাস পাননি তিনি। শেষমেশ বাড়তি ভাড়া দিয়েই এনআর পরিবহনের বাসে উঠেছেন। তিনি বলেন, বাড়ি তো যেতে হবে, এখন বেশি ভাড়া দিয়েই উঠলাম।
একই অবস্থা নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও। এখানেও দেখা গেছে সারিবদ্ধ বাসের ভিড়। যাত্রীদের অভিযোগ, নির্ধারিত ভাড়ার তিন-চার গুণ ভাড়া নিচ্ছে পরিবহনগুলো।
এছাড়া কম টাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক আবার ট্রাক, পিকআপভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছেন।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আস্তে আস্তে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। সড়কে পুলিশ কাজ করছে। কোনো যানজটের খবর নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্টও কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের এডিআইজি ইকবাল হোসেন পিপিএম বলেন, সড়কের নিরাপত্তা ও যানজটের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক তথ্য পেতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করছি। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তায় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।