ঋতু পরিবর্তনের সময় নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। গরমে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের একটি হলো এ সংক্রান্ত অসুখের ভয়। গরমে ঘেমে সেখান থেকে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। অতিরিক্ত গরমে হতে পারে হিট স্ট্রোক। এছাড়া এ সময় ধুলোবালি, দূষণ, অতিরিক্ত রোদ ইত্যাদির কারণেও অসুখের ঝুঁকি থাকে। তাই সুস্থতার জন্য আপনাকে থাকতে হবে সতর্ক। চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়-
বাইরে গেলে সতর্ক থাকুন : যারা রোদে গেলে সমস্যা হয় তারা সকালের দিকে কিংবা বিকেলে বাইরে যেতে পারেন। তবে যদি আপনাকে জীবিকার প্রয়োজনে রোদেই বের হতে হয়, তখন ভিন্ন কথা। রোদে বের হতে হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা রাখুন। ব্যবহার করতে পারেন সানগ্লাসও। একটি পানির বোতল ও টিস্যু পেপারও সঙ্গে রাখুন। যতটা সম্ভব বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন।
হাইড্রেটেড থাকুন : ডিহাইড্রেশন মোকাবিলায় পর্যাপ্ত হাইড্রেশন জরুরি। পানি ডিহাইড্রেশনের সর্বোত্তম প্রতিষেধক। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য, কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য এবং ত্বকের হাইড্রেশন সংরক্ষণের জন্য পানি পান করা অপরিহার্য। হাইড্রেটেড থাকার জন্য সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন।
মুখ এবং হাত পরিষ্কার রাখুন : ডায়রিয়া এবং বমিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতা গ্রীষ্মের সময়ে বেশি হয়ে থাকে, এটি দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ রোধ করার জন্য মুখ এবং হাত পরিষ্কারের গুরুত্বের ওপর জোর দিন। সাবান এবং পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করুন। ভুলেও খোলা পানি খেয়ে ফেলবেন না।
খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন : তাপমাত্রা বাড়লে খাবারে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই গরমে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ডায়রিয়া এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ করার জন্য সঠিকভাবে খাদ্য পরিচালনা এবং সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে হাত ধোয়া এবং সঠিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণসহ ভালো খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করুন : কনজেক্টিভাইটিস সাধারণত পিংক আই নামে পরিচিত, গ্রীষ্মে এটি একটি সাধারণ অসুখ। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করা এবং অপরিষ্কার হাত দিয়ে স্পর্শ করা এড়ানোসহ চোখের ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এগুলো চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।