ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তীব্র দাবদাহে অস্থির চট্টগ্রামের মানুষ

তীব্র দাবদাহে অস্থির চট্টগ্রামের মানুষ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও চলছে তীব্র দাবদাহ। বৈশাখের শুরু হতে না হতেই খরতাপে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরেও টেকা দায়। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর আবহাওয়া অফিসও এরই মধ্যে বৃষ্টির কোনো সুখবর দিতে পারছে না। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যানুযায়ী, গত সোমবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও বৃষ্টিপাতে আশঙ্কা নেই চট্টগ্রাম। মো. খোরশেদ নামে এক রিকশাচালক বলেন, যেই গরম পড়েছে একটু বৃষ্টি হলে অনেক ভালো হতো। এই গরমে রিকশা চালাতে প্রাণ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম। বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থী সাইফুল আলম বলেন, হেঁটে যে গন্তব্য যাব তার সুযোগ নেই। রোদের তাপেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে বাসে ভ্রমণও সুখকর হচ্ছে না। জ্যামে আটকে পড়লে গরমে আরো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এদিকে, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ওষ্ঠাগত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণীকুল। খাঁচার ভেতরে থাকা জলাধারে শরীর ডুবিয়ে কিংবা মুখ ডুবিয়ে গরম থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছে প্রাণীগুলো।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এমন তীব্র গরম আরো দুইয়েক দিন থাকবে। ১৮ তারিখ নাগাদ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তাপমাত্র কমে যাবে।

চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা জানান, অতিরিক্ত গরমে মাংসাশী ও নানা প্রজাতির পাখির বেশি সমস্যা হয়। এজন্য সবসময় দেখভাল করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের মাধ্যমে। পানির সঙ্গে খাবার স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে। এদিকে তীব্র গরমে রাস্তার পাশের শরবতের পসরা নিয়ে বসেছে অনেকে। তীব্র গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা শরবত পান করছেন অনেক পথচারী। কেউবা আবার তীব্র রোদ এড়াতে ছাতা ব্যবহার করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত