বান্দরবানে র‌্যাব ডিজি

অবৈধ অস্ত্রধারী বা সংগঠনের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, (কক্সবাজার) বান্দরবান থেকে

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা খুবই নিন্দনীয় উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, অবৈধ অস্ত্রধারী বা সংগঠনের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। বিপথগামীরা যতদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসে ততদিন এ অভিযান চলমান থাকবে। গতকাল বান্দরবান সদরে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন র‌্যাব মহাপরিচালক। এর আগে সকালে রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিজি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সার্কিট হাউজে জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি রয়েছে। তাদের সঙ্গে কিংবা জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই, আনসার ও র‌্যাব সদস্যরা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে বিপদগামীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। শান্তি আলোচনার পথ এখনো খোলা রয়েছে। সংঘর্ষ বা সংঘাত কারোরই কাম্য নয়।

এ সময় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল মো. মাহাবুব আলম, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর সদর দপ্তরের কর্নেল সোহেল আহমেদ, ডিজিএফআইয়ের কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জামশেদ, র‌্যাব পরিচালক (এয়ার উইং) লে. কর্নেল মীর আসাদুল আলম, র‌্যাব পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত, পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরো দুই কেএনএফ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন বান্দরবান সদরের ৪ নম্বর সুয়ালক ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড ফারুক পাড়া এলাকার লাল টুয়ান বমের ছেলে টাইসন বম (২৩) ও সানকিম বমের ছেলে ভান খলিয়ান বম (৩৭)। আদালতের জিআরো বিশ্বজিত সিংহ জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় এর আগে ৬৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।