কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, ‘বনজ সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং বনায়ন কার্যক্রম জোরদার করেছে। জনগণের অংশ নেওয়ার মাধ্যমে টেকসই বন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ ও বনের প্রতিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমাদের যতটুকু বন রয়েছে, সেই বনভূমিকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের স্থানীয় তরুণ জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল সকালে কক্সবাজারের উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বনবিটের তেলখোলা এলাকায় ‘পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন বন্ধ, বন ও বন্যপ্রাণী ধ্বংস রোধে এক সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরো বলেন, সরকারি বাগান রক্ষায় এগিয়ে আসার ফলে ব্যক্তি পর্যায়েও লাভবান হওয়া যায়। এটি আজকে সমাদৃত। এলাকায় এলাকায় উপকারভোগীরা লভ্যাংশের চেক পাচ্ছে এটা দেখে উপকারভোগীর উত্তরসূরীরা বাগান রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ডিএফও সারওয়ার আলম আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ শুরু করেছিলেন। দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ, উপকূল সংরক্ষণে বনায়ন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী ও অন্যান্য জলাভূমি সংরক্ষণ, ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠাসহ প্রকৃতি ও মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগী কর্মকাণ্ড দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসার দাবিদার।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মো. শফিউল আলমের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠান সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ। ওই সভায় স্থানীয় উপকারভোগীসহ গণ্যমান্য লোকজন অংশ নেন।
পরে একই স্থানে ফরেস্ট নার্সারি স্থাপন ও টেকসই বনায়ন ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।