কাউখালীতে প্রবাসী বন্ধুকে ইয়াবা ও গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন দুই বন্ধু। জানা গেছে, উপজেলার আশোয়া গ্রামের মোবাশ্বের খানের ছেলে কামরুল ইসলাম ও কচুয়াকাঠি গ্রামের কায়কোবাদ তালুকদারের ছেলে আব্দুল্লা আল গালিবের প্রবাসী বন্ধু মিজান শরিফ বিদেশে থেকে বন্ধু গালিবের হিসাবে পাঠানো ১৮ লাখ টাকা অত্মসাৎ করার জন্য মাদক দিয়ে ফাঁসানোর নাটক সাজানো হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন। মামলার বাদী কাউখালী থানার এসআই মশিউর রহমানের নিকট গত মঙ্গলবার রাতে কামরুল ফোন করে জানান গার্লস স্কুল সংলগ্ন (বিন্দু ব্রিজ নামে পরিচিত) ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায় মিজান রয়েছে তার কাছে ইয়াবা ও গাঁজা রয়েছে। সেই মোতাবেক এসআই মশিউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মিজানকে তল্লাশি করে কোনো মাদক না পেয়ে কামরুলকে পুনরায় ফোন দেয় পুলিশ। এ সময় কামরুল গাড়ির সুনির্দিষ্ট একটি জায়গার কথা বলেন যে, ওইখানে হাত দিলেই পাওয়া যাবে এবং সে মোতাবে ৫ পিসি ইয়াবা ও ৫ গ্রাম গাঁজা ওই জায়গা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে মিজানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মিজান চ্যালেঞ্জ করলে আসল গোমর ফাঁস হয়। তার বিদেশ থেকে পাঠানো ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য কামরুল ও আব্দুল্লা আল গালিব এ নাটক সাজিয়েছে। মিজানের পক্ষে কাগজপত্র ও প্রমাণ প্রকাশ করার পরে মিজানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় তাকে আটক করে পুলিশ এবং পরবর্তী সময় এই অপরাধের সাথে কামরুল ও গালিবের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এ ব্যাপরে কাউখালী থানার ওসি হুমাউন কবির জানান, গালিবের কাছে মিজান পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দেওয়ায় আসামিরা এ নাটক সাজিয়েছিল। মিজান সৌদি প্রবাসী তার অপরাধ খুঁজে না পাওয়ায় প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।