শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি পতিত জমিতে সন্দেহজনক একটি গর্তের সন্ধান পান স্থানীয় কৃষকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ভিড় করে কয়েক’শ উৎসুক জনতাও। কি লুকানো আছে গর্তে, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা আর হিসেব নিকেশ। সন্দেহ, গর্তে লুকানো আছে নিষিদ্ধ মাদক বা গুম করা মরদেহ। আর এই সন্দেহ যাচাইয়ে শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। গত ১৯ মার্চ সকালের দিকে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেকের পতিত এক জমিতে শুরু হয় এক এলাহি কাণ্ড। সন্দেহজনক গর্ত খুঁড়তে নিয়োগ দেয়া হয় শ্রমিক। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল সেখানে একটি গর্তকে দেখতে এমন ভিড়ের কথা জানিয়েছেন। এদিকে, লোকমুখে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতার ঢল নামে ঘটনাস্থলে। খোঁড়াখুঁড়ি ঘিরে ভিড় করে কয়েকশ‘ উৎসুক জনতার ঢল। উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালে কয়েকজন কৃষক খেতে কাজ করার সময় পাশেই আব্দুল খালেকের পতিত জমিতে একটি গর্ত দেখতে পায়। পরে কাছে গিয়ে গর্তে কিছু একটা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। শুরু হয় অনুসন্ধান। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুইজন শ্রমিক দিয়ে গর্ত খুঁড়ার কাজ শুরু হয়। পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ ঘণ্টায় ৬ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ার পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচ ফুট উচ্চতার আটকে পড়া একটি বাঁশ। পরে পুলিশ গর্ত খুঁড়া বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ভয়েজ অব ঝিনাইগাতীর সভাপতি বলেন, সেই জমিতে খোঁড়াখুঁড়ি ঘিরে ভিড় করে কয়েকশ’ উৎসুক মানুষ। সকাল থেকেই আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম হতে তারা আসতে থাকে। মূলত সেখানে একটি বাঁশের টুকরো ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই গর্তে কোনো লাশ বা মাদক থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়। তাই গর্ত খুঁড়া হয়। কিন্তু সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি একটা বাঁশ ছাড়া। পরে খোঁড়া গর্তটি বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বাঁশটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান ওসি।