ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করা হবে

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করা হবে

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রাইভেট প্র্যাকটিসে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কত টাকা পরামর্শ ফি নিতে পারবেন, তা রোগীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সুরক্ষা অবশ্যই দেয়া হবে, পাশাপাশি রোগীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষাও দিতে হবে। কারণ আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষা আইন মহান জাতীয় সংসদে পাসের জন্য আমার পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে চাঁদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে একমতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রান্তিক অঞ্চলের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আমি সবসময় একটি কথায় বলে এসেছি, প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হলে সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হলে শহরের উপর চাপ কমবে। আমি নিজেই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসেছি। আমি সব জানি। তাই, প্রান্তিক এলাকায় জরুরী স্বাস্থ্য সেবা ও সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা মন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব।

মতবিনিময় সভায় কুমিল্লায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা এবং বৃহত্তর নোয়াখালী মিলে প্রায়ই আড়াই কোটি লোক এখানে বাস করে। প্রতিদিন ক্যান্সার রোগী আমার কাছে সাহায্য নিতে আসে। একটা দিনও বাদ যায় না। সমাজ কল্যাণ থেকে আমরা ৫০ হাজার টাকা দিই। প্রতি বছর ৫০ লাখ টাকা আমি দিই এলাকার দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের জন্য। তিনি একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির জন্য আহ্বান জানান।

সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন দাবির প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাকে কিছু দাবির কথা বলা হয়েছে। একটা ক্যান্সার হাসপাতালের দরকার আমি বুঝি। আমি এটা নিয়ে কাজ করব। অদূর ভবিষ্যতে আমি এখানে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত