চট্টগ্রামে রমজানের পর সবজি ও মাংসের দাম এখনো লাগামহীনভাবে বাড়ছে। এতে অস্বস্থিতে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। ঈদের ছুটিতে সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে ফের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। খুচরায় প্রতি কেজির দাম উঠেছে ৬০ টাকা। দেশি আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ঈদের পর আবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দামও। কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে সবজির বাজারেও এখনো স্বস্তি ফিরেনি। অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে মিলছে হাতেগোনা কয়েকটি সবজি। গতকাল নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, শসা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ, শিম ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এর বাইরে পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়শ এবং পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি আর শিমের বিচি। এছাড়া কাকরোল ১৬০ টাকা কেজি এবং করলা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজিও আসছে কম। এরই মধ্যে শীতের সবজি নেই বললেই চলে। ঈদের পর থেকে সরবরাহ কমে গেছে। অনেকে এখনো বাড়ি থেকে ফিরেনি। বেশি দাম দিয়ে সবজি আনতে হচ্ছে। তাই দামও পাঁচ থেকে দশ টাকা বেশি। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৩০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকায়, দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়, রুই ২৬০ থেকে ৩২০ টাকায়, বাগদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, রুপচাঁদা ৫৫০ থেকে৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়।