ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সবজি কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা

ঈদের পর সবজির চাহিদা বৃদ্ধি
সবজি কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ঈদ পরবর্তী ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজারে ঈদ পরবর্তী সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৩০ টাকা, মূলাশাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সোনালি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতারা জানান, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি তবে শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তারা বলেন, দুই-তিন মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই দাম ১০ টাকা কমলে ২০ টাকা বাড়ছে। গরমে দাম আরো বাড়তে পারে। এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয় তবে আলু ৪৫ টাকা আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৪০০ টাকা, ১ কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত