টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে অপহরণের পর ২২ দিন আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত নাজমুল হাসান (২৬) ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে। এছাড়া এ মামলায় অভিযুক্তকে সহযোগিতা করায় আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে ঝুমুর আলী (৪৫), জবেদ আলী মন্ডলের ছেলে দুলাল মন্ডল (৬০) ও দুলাল মন্ডলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চাম্বলতলা গ্রামের চৌরাসা মিনহাজ তালুকদার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন সময় নাজমুল তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বের হলে নাজমুল তার সহযোগিদের সহায়তায় তাকে অপহরণ করে। পরে জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারে তাকে নাজমুল অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে ভিকটিমকে বিয়ে করার চেষ্টা করে নাজমুল। কিন্তু ভিকটিম রাজি না হওয়ায় মামলায় অভিযুক্ত সহযোগিদের সহায়তায় নাজমুলের বাড়িতে আটকে রাখে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে গত ১২ এপ্রিল মেয়েকে উদ্ধার করে। এ সময় ভিকটিম জানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৪ এপ্রিল ঘাটাইল থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। পরবর্তীতে ধর্ষণের বিচার পেতে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।
মামলার বাদী ভিকটিমের মা জানান, আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে, তার বিচার চাই।
এলাকাবাসী জানায়, এর আগেও নাজমুল আরো একটি ঘটনা ঘটিয়েছিল। এমন ছেলে আমাদের গ্রামে থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। আমরা এর বিচার চাই।
বাবুল হোসেন নামে একজন বলেন, এই রকম মেয়ের সাথে এই ধরনের কাজটা আসলে মেনে নেওয়ার মতো না। আসামি যারা রয়েছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আরফান আলী মোল্লা বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছে।