নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনগুলো যেন শান্তিপূর্ণ হতে পারে সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমাদের প্রশাসন এবং অন্যান্য বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে একথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইসি আলমগীর আরো বলেন, আমরা কোনো অপশক্তি কোনো অন্যায়ের কাছে আমরা মাথা নত করব না। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের ব্যাপারে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবারো একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে কে কার আত্মীয়, কে কার আত্মীয় নয় এটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য বিষয় হলো উনি প্রার্থী কি না, আর প্রার্থী হলে ওনার যেসব আইনগত অধিকার আছে সেগুলো সমান পাবে, যেগুলো করার অধিকার নেই যারই আত্মীয় হোক না কেন তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের যারা কর্মকর্তা আছেন তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার এবং প্রার্থীরা সবাই সবাইকে চিনে থাকেন। এখানে প্রতিযোগিতা, ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়। এ কারণে একটু উত্তেজনা থাকতে পারে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকবে যেন কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।