আলোচনা সভায় বক্তারা

মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমেই বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করে

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় সহজ ছিল না। আজকের দিনে এপ্রিল মাস অনেকটাই অবহেলিত রয়েছে। এই মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমেই বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের পরিচিতি লাভ করে।

গতকাল বেলা ১১টায় সম্প্রীতির বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে কথা বলতে গেলে মুজিবনগর সরকারের কথা আসবেই। তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে হবে। তরুণরা সঠিক ইতিহাস থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা রাখছি।

প্রধান আলোচক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছয় দফা, মুক্তযুদ্ধ বা যা নিয়েই কথা হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বটতলার কথা উঠে আসে। এগুলো মানুষের আবেগ না বরং এতে মানুষের আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের জীবনে এপ্রিল না এলে ডিসেম্বর আসতো না। মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় সহজ ছিল না। অথচ আজকের দিনে এপ্রিল মাস অনেকটাই অবহেলিত রয়েছে। এই মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমেই বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ পরিচিতি লাভ করে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার বা সম্প্রতির বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর নাম সবার সামনে আসে। ইতিহাসের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কেউ নেই। তার আদর্শের দিকে তাকিয়েই আমরা পথচলার শক্তি খুজে পাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আলোচক হিসেবে আরো বক্তব্য দেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়া ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল স্বাগত বক্তব্য দেন এবং মডারেশনের দায়িত্ব পালন করেন ঢাবি শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।