সনদ বাণিজ্য

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইসিটি) অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আদেশ জারি করা হয়েছে।

গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবার খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিয়ে কারিগরি অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হলো। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সংযুক্ত নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য পদ থেকে অবমুক্ত করা হলো। অপর প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইসিটি) অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে ২১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে জাল সার্টিফিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠে জাল সনদের সঙ্গে চেয়ারম্যানসহ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি : কারিগরি বোর্ডের সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দারা (ডিবি)। ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ এই তথ্য জানান।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার (আজ) কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য ডাকা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এছাড়া সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অন্য আরো যাদের নাম এসেছে, তাদেরও একে একে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথম গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তার নাম। দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধানরা এতে জড়িত বলে জানা যায়। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে। এরপর চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।