কিশোরগঞ্জে রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়ে আসার পথে নিখোঁজের ২৫ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়া (২৫) জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। মোখলেছ কেওয়ারজোর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে জেলা জজ আদালতের একজন আইনজীবী সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোখলেছ জেলা শহরের হারুয়া বৌবাজার এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৯ মার্চ জেলা শহরের পাগলা মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন মোখলেছ উদ্দিন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ৩১ মার্চ কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড় ভাই মিজানুর রহমান। পরে, ১৬ এপ্রিল এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে গত শনিবার বেলা ১১টায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এলাকা থেকে নিখোঁজ মোখলেছের বন্ধু মিঠামইনের কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন ফুলপুর গ্রামের মিজান শেখ (২৮), তার বাবা শেফুল শেখ (৬৫) ও মিজানের দুই ভাই মারজান শেখ (২৬) ও রায়হান শেখকে (২১) আটক করা হয়।
আটকের পর ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যার পর নরসুন্দা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য দেয় তার বন্ধু মিজান শেখ। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার থেকে গতকাল বিকাল চারটা পর্যন্ত পুলিশ নদীতে নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের ব্যবহৃত লুঙ্গি, ভাড়া বাসার চাবি ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহতের বন্ধুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার থেকে উদ্ধার অভিযান চলছিল। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে নরসুন্দা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে নিহতের বন্ধু। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব আমরা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।