ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর

বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি স্বজনদের

বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি স্বজনদের

সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছরেও দোষী রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত ও আহতের স্বজনরা। দীর্ঘ প্রায় একযুগ পার হতে চললেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারা। গতকাল সকালে সাভারের রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত, নিহতদের স্বজনসহ শ্রমিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় নিহত ও আহতের স্বজনরা এসব অভিযোগ করেন। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-১।

এ সময় আন্দোলকারীরা বলেন, এমন ঘটনায় দোষীদের বিচার না হওয়া জাতির জন্য লজ্জা। এছাড়া আন্দোলনকারী ও নিহত-আহতদের পরিবার সরকারের কাছে অপরাধীদের দ্রুত এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ আরো বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত নারী শ্রমিক ইয়ানুর। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় ইথার টেক্স কারখানায় চাকরি করতেন তিনি। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত হয়ে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে ১১ বছর পার করছেন তিনি। একমাত্র তার স্বামীই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্তান রয়েছে। একজনের আয় দিয়ে বাসা ভাড়া, খাওয়া, সন্তানের লেখাপড়া আবার তার চিকিৎসার খরচ বহন করা যেন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। ইয়ানুর জানান, আমরা কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি। যা পেয়েছি তা অনুদান ছাড়া কিছু নয়। এছাড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিচার এখনো হয়নি। তার বিচার দেখে যেতে পারবেন কি না, জানেন না তিনি। শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, রানা প্লাজা ধসের ঘটনার তদন্ত কাজ শেষ হয়ে গেছে, এখন বিচার পর্যায়ে আছে। নিম্ন আদালতে বিচার হয়েছে, উচ্চ আদালতে আপিল হওয়ার পর বিষয়টি পেন্ডিং আছে। যেহেতু আদালতে বিচার কাজ চলমান আছে তাই এ বিষয়টা বলা সমীচীন হবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী কারো দেনা-পাওনার বিষয়গুলো দেখে কলকারখানা অধিদপ্তর। আমরা তাদের বলেছি, ওনারা কাজ করছেন, চেষ্টা করছেন এগুলো আদায় করার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত