ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট শেয়ার ও কমেন্টস করায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ (৪৮)-এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলায় এই আসামিকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গত বুধবার শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদে ইমাম মো: কাইয়ূম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলাটি করে। পরে ওই মামলা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে। তবে বর্তমানে সে ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করত।
মামলার বাদী জানান, সম্প্রতি সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে ‘বাবার গলাতেই বিয়ের মালা দিলেন পাক তরুণী’ শিরোনামে একটি লেখা শেয়ার করে। পরবর্তীতে এ পোস্টের কমেন্টেস ইসলাম ধর্মকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর মন্তব্য লিখেন। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া এই পোষ্টটি মূহর্তেই ভাইরাল হয়ে গেলে ওই পোষ্টের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগণ কঠোরভাবে সমালোচনাসহ প্রতিবাদ জানিয়ে নানা ধরনের কমেন্টস করে। এ ঘটনায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহূর্তেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফারুক হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভুঞার নির্দেশে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেইসবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্কীনশর্ট জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সংশ্লিষ্ট মামলায় সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।