সুসংবাদ প্রতিদিন
সবার নজর কাড়ছে ৭৫০ কেজি ওজনের ‘পেলে’
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বেশি নয়, একটি মাত্র ৩ বছর বয়সি ষাঁড়। লম্বা ৯ ফুট, ওজন ৭৫০ কেজি। পশু চিকিৎসকের পাশাপাশি জোবাইদ হোসেনের বিদেশি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের গরু পালন ইতিমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। জোবাইদ হোসেন বিদেশি জাতের গরু পালন বিষয়ে বলেন, এখন তার বাড়িতে বিদেশি জাতের তিনটি গরু আছে। এর মধ্য দুটি ষাঁড় ও একটি গাভি। ষাঁড় দুটির একটি ফ্রিজিয়ান জাতের, অন্যটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। গাভিটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। সেটিও এখন গর্ভবতী। তবে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় ও গাভির মায়ের জাত ছিল ভিন্ন। তাদের মায়ের জাত ছিল শাহিওয়াল। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বীজ সংগ্রহ করে শাহিওয়াল জাতের গাভিতে দেওয়া হয়। এতে শাহীওয়াল জাতের গাভি থেকে শতভাগ ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বাছুর হয়েছে। বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়ের বয়স তিন বছর। এ বয়সে ষাঁড়টি ৯ ফুট লম্বা। ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও স্কয়ার মেপে ওজন ৭৫০ কেজি পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। বিদেশি জাতের সফল গরু পালনকারী আক্কেলপুর পৌর শহরের হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার জোবাইদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি গরু লালন-পালন করতে গিয়ে মূলত প্রশিক্ষণ নিয়ে পশু চিকিৎসকের খাতায় নাম লিখেছেন। ১৫ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। আগে থেকেই তিনি বাড়িতে বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করতেন। প্রতিবেশী শামীম হোসেন বলেন, জোবাইদ অনেক আগে থেকেই বাড়িতে গরু লালন-পালন করতেন। গরু লালন-পালন করতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে পশুচিকিৎসকও হয়েছেন। তিনি এখন নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন জাতের বড় বড় গরু লালন-পালন করে থাকেন। আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জোবাইদের লালন-পালন করা বিদেশি গরুগুলো এক নজর দেখতে আসেন অনেকেই বলে জানান প্রতিবেশী শামীম। জোবাইদ হোসেন আরও বলেন, লালন-পালন করা ষাঁড়টি প্রতিদিন পাঁচণ্ডসাত কেজি দানাদার খাবার, কাঁচা ঘাস ও খড় খায়। এতে প্রতিদিন ষাঁড়ের পেছনে ৫০০ টাকার মতো খরচ হয়। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের গরুর দুধ ও মাংস বেশি হয়। এখনই তার ষাঁড়ের দাম হাঁকছেন আট লাখ টাকা। তবে তিনি ষাঁড়টি এখনই বিক্রি করবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। এ ষাঁড় থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন। বীজ প্রজনন উন্নয়নের জন্য তিনি ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। খামারিদের এ জাতের গরু পালনে উদ্বুদ্ধ করতে আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত গত বৃহস্পতিবার প্রদর্শনী মেলায় তোলা হয়েছিল ষাঁড়টি। বিদেশি ব্রাজিলিয়ান ষাঁড়টি দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান জোবাইদ। আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিদেশি অন্যান্য গরু থাকলেও ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। ষাঁড়টির বর্তমানে ওজন ৭৫০ কেজি বলেও জানান ডা. রাশেদুল।