ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দুদককে এসব তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়। পাশাপাশি এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য জানতে চেয়ে জয়েন্ট স্টক, সাব রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। তা ছাড়া দুদকের অনুসন্ধান দল এসব বিষয়ে জানতে বেনজীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার জহুরুল হক।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করে দুদক। পরদিন ২৩ এপ্রিল এসংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল গণমাধ্যম কালের কণ্ঠে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বিস্তর তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক।
বেনজীরের অঢেল সম্পদের মধ্যে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।