সুসংবাদ প্রতিদিন

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। কৃষকের জমি থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা। আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় আগাম জাতে আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক ময়ছার আলী বলেন, এবার আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। দেড় বিঘা জমিতে মাত্র ৫৫ দিন পর খেত থেকে নতুন আলু তুলতে শুরু করেছি। এ বছর আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না। পাইকাররা জমি থেকে আলু ৪৩ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দেড় বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টারপ্রতি ফলন হয়েছে ১৭ টন।

কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, আগাম জাতের আলু ১ বিঘা জমিতে লাগিয়েছি। ফলন ভলো হয়েছে গত বছর লাভ করতে পারিনি, এবার লাভবান হবো। এবার ১ কেজি আলু জমি থেকে ৪৩ টাকা থেকে ৪৪ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। গত বছর ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা বিক্রি করছি। কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি এরই মধ্যে প্রায় ১০ কাঠা জমির আলু খেত থেকে তুলতে শুরু করেছি। তিন বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকার মতো। আলু যে হারে এবার ফলন হয়েছে, তাতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাভ হবে। গত বছর আলুর দামটা কম ছিল, উৎপাদন খরচটা বেশি ছিল। এবার আলুর বাজার ভালো, আবার ফলন ভালো হয়েছে। তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছেন। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামূলক কম হয় তারপরও এবার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছে। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফসল উত্তোলনের পর আবার তার ভুট্টা ও বোর ধান লাগাবে। আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষক, এখন তিনটি ফসল উৎপাদন করছেন তারা। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টারপ্রতি ফলন হয়েছে ১৭ টন। বাজারে আলু দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।