স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি, একটা কথাই বলেছি- আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি আমি রোগীদেরও মন্ত্রী। চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করব না, রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাশত করব না। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও, তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখব।’ গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ওই ওরিয়েন্টেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আর বানু এনডিসি প্রমুখ। নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল বলেন, ‘এ দেশের মানুষ অতিসাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। চিকিৎসকের কাছে এলে তারা প্রথমে চায় একটু ভালো ব্যবহার, ভালো করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার। আমি মনে করি, সে স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা, যারা আজ চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছ। আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে। ’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আপনারা যে কর্মস্থলে যোগ দিতে যাচ্ছেন, সেখানে যারা সেবা নিতে আসবেন, তারা হয়তো আমাদের আত্মীয়স্বজন। যেহেতু আমাদের দেশটা ছোট, সেহেতু এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন, তাদের নিজের বাবা, মা, বা আত্মীয়স্বজন ভেবে স্বাস্থ্যসেবা দেবেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সেবা প্রদানে সতর্ক থাকবেন, দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থাকবেন। ’
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ৪১তম বিসিএস স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১০৩ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৭১ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ১৫৩ জন যোগ দেন।