ঠাকুরগাঁওয়ে কমিশনার রাশেদা সুলতানা

উপজেলা ভোটে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই ইসির লক্ষ্য

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোলেমান আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, এনএসআই’র জয়েন্ট ডিরেক্টর হেমায়েত হোসেন, ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ, পদাতিক, ঠাকুরগাঁও জেলা আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিনহাজ আরেফিন, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মঞ্জুরুল হাসান প্রমুখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীগণ বক্তব্য দেন।

ভোট প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, এই প্রথম আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। উদ্দেশ্য একটাই, কারণ একটাই, আমরা সবাই জানি দেশের জন্য নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। সাধারণ জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রদান করবেন। আর যাদের জনগণ নির্বাচিত করে আনবেন, তাদের ভোটের মাধ্যমে, ভোট দিয়ে এ স্থানগুলোতে আনবেন। তারাই জনগণের পক্ষে দেশের এ জায়গাগুলোতে কাজ করবেন। সেই কাজটিই কিন্তু গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং এটি নির্বাচনের মাধ্যমে হলে ভালো, না হলে গণতন্ত্র চর্চা থাকে না, এটার যে সৌন্দর্য্য সেটি নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত ভোট প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত করাই কমিশনের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা আসার পরই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছি, এটি দেশের জন্য খুবই জরুরি। সেই ধারাবাহিকতা যাতে চলমান থাকে সেটাই আমাদের চাওয়া। আমরা আসার পরে প্রায় ১২শ’র মতো নির্বাচন করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। সকলে একবাক্যে রায় দিয়েছে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যমে অবাধে তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন এবং এতে আমরা কিন্তু সফল হয়েছি বলে বিশ্বাস করি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কাছাকাছি আমরা গিয়েছি। এটা আরও বেশি উচ্চতর জায়গায় যাক, এটুকুই আমাদের কমিশনের প্রত্যাশা। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া।