ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তীব্র তাপদাহ

বোরো ধানে হিটশকের শঙ্কায় সাটুরিয়ার কৃষক

বোরো ধানে হিটশকের শঙ্কায় সাটুরিয়ার কৃষক

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আবাদ হয়েছে বোরো ধানের। এরই মধ্যে অনেক খেতের ধানের শীষ সোনালি রং ধারণ করতে শুরু করছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কৃষক তাদের খেতের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে শুরু করবেন। এমন সময় বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে মাঠের ফসল। কৃষক পড়েছেন বড় ধরনের দুশ্চিন্তায়। চলতি মৌসুমে সাটুরিয়া উপজেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। কিন্তু সাটুরিয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি এর মধ্যে উঠানামা করছে ফলে হিটশকে ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তিত প্রান্তিক কৃষক। তবে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, উপজেলার অধিকাংশ খেতের ধান পরিপক্ক হওয়া শুরু করেছে, ফলে তাপমাত্রা বাড়লেও ধানের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। এ অবস্থায় কৃষকদের ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস। ধানের জমিতে অবশ্যই ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে বলেও জানান তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বুরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের ঘিওর গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে বুরো ধানের আবাদ করছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ এবং অনাবৃষ্টিতে ক্ষেতের ধানের অনেক শীষই মরে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন প্রতিদিনই ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।

উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, বছরের শুরুতে বুরো ধান আবাদের জন্য আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে ছিল। যে কারণে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল। তবে শেষ সময়ে এ তাপমাত্রা আমাদের চিন্তায় ফেলেদিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, দেশের বিরাজমান এই তাপমাত্রা ধানসহ অন্যান্য ফসলের জন্যও খুবই ক্ষতিকর। তবে সাটুরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বোরো ধানের যে আবাদ হয়েছে, তার অধিকাংশ পেকে উঠতে শুরু করেছে। ফলে এসব ধানে হিটশকে ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা কম। কিন্তু যেসব এলাকায় বুরো ধানের শীষ এখনো পরিপক্ক হয়নি, সেসব এলাকার ধানখেতে কমপক্ষে দুই-তিন ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে। যাতে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও, পানি থাকলে তা কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। তাপমাত্রা যদি ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে, তাহলে আর এ সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত