গরমে প্রশান্তি পেতে খাবার-দাবারের প্রতি মনযোগ দিতে হবে। এমন কিছু খাবার আগে যা এই তীব্র দাবদাহের সময় অবশ্যই খাওয়া উচিত। এরমধ্যে অন্যতম হ”েছ পনির। যদিও গরমে অনেকেই পনির খেতে চান না। আর এই ভুলের কারণে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। তাই পরি¯ি’তি খারাপ দিকে পৌঁছে যাওয়ার আগেই এই খাবারকে ডায়েটে করে দিন জায়গা। এবার আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, ঠিক কেন পনিরকে ডায়েটে জায়গা করে দেওয়া উচিত? জানুন বিস্তারিত।
প্রোটিনের ভাণ্ডার পনির : পেশি শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ একাধিক জটিল কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রোটিন। তাই শরীর ও স্বা¯ে’্যর হাল ফেরাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতেই হবে। আর এমনই এক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হলো পনির। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকে এই গরমে নিয়মিত পনিরের পদ খেয়েই রসনাতৃপ্তি করার পরামর্শ দেন।
ওজন কমায় পনির : ওজন বেশি থাকলে একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাও ওজন কমাতেই হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে পনির। কারণ এই দুগ্ধজাত খাবারের ক্যালোরি ভ্যালু খুবই কম। এমনকি এতে মজুত প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে চট করে খিদে পায় না। আর কম খেলে যে ওজন হুশ করে কমে যাবে, তা তো বলা বাহুল্য! তাই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে এই খাবারকে জায়গা করে দিতে দেরি করবেন না যেন।
ব্লাড সুগার থাকবে বশে : ডায়াবেটিস রোগীদের হাজার খাবার খাওয়ায় বারণ থাকে। তবে ভালো খবর হলো, এই রোগে ভুক্তভোগীরা অনায়াসে খেতে পারেন পনির। এই কাজটা করলে কিš‘ সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি দেহে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও মিটে যাবে। তবে ডায়াবিটিস থাকলে আবার ভুল করে ফ্যাট যুক্ত পনির খাবেন না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলে; কিš‘ ভুগবেন।
শক্ত হবে হাড় : আজকাল বয়স ৩০-এর গণ্ডি পার হওয়ার পরই আমাদের মধ্যে অনেকে হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগের ফাঁদে পড়ে ভোগেন। তাই পরি¯ি’তি এতটা খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে লেগে পড়তে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে পনির। কারণ এই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাসের ভাণ্ডার। আর দুই উপাদান কিš‘ হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সারা জীবন হেঁটে-চলে বেরাতে চাইলে ঝটপট এই খাবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
বাড়বে ইমিউনিটি : গরমে একাধিক ভাইরাস হয়ে উঠেছে সক্রিয়। তাই এই সময় সংক্রামক রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে আপনাকে ইমিউনিটি বাড়াতেই হবে। আর সেই উদ্দেশ্যে সফল হতে পনিরের শরণাপন্ন হন। কারণ এ খাবারে রয়েছে জিঙ্ক ও প্রোটিনের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান; কিš‘ ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই এই খাবারকে সামার ডায়েটে জায়গা করে দিন। আশা করছি, তাতেই আপনার সু¯’ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
