দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে ঝরে পড়েছে আম ও লিচুর গুটি। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা এতে বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও টেকানো যাচ্ছে না আমণ্ডলিচুর গুটি। আর এতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগান মালিকরা। দিনাজপুর জেলায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর-এর বেশি জমিতে লিচু গাছ এবং ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। চলতি মৌসুমে মুকুল বেশি হলেও গুটি তেমন আটকেনি। যতটুকু আটকেছে তা তীব্র তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে। আম চাষিরা বলেন, তীব্র খরায় আমের বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে পড়ছে। মুকুল দেখে ভেবেছিলাম ফল হয় তো ভালো হবে। কিন্তু বর্তমানে ফলের অবস্থা দেখে খরচের টাকাটা উঠবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। এরপর যে খরা চলছে এতে করে গাছে আম ধরে রাখায় কষ্টকর। এমনিতেই এ বছর শীতের কারণে মুকুল দেরিতে এসেছিল, তারপরও অসময়ের বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে যায়। আর এখন বৃষ্টির অভাবে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। এমন দাবদাহ আরো কিছুদিন চললে আরো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। লিচু চাষিরা জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন বেশি এবং বৈরী আবহাওয়া আর অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। চায়না-৩ তুলনায় বোম্বাই এর ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে, তবে এই রকম আবহাওয়া থাকলে ফল উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর আমের বাগানগুলোতে মুকুল এসেছিল তুলনায় অনেক কম। তারপর অনাবৃষ্টির কারণে আমের মুকুল ঝরে যায়। এরপর গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাচ্ছে গুটি। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নুরুজ্জামান জানান আম ও লিচু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।