গেল বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্র ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। গরম অনুভূত হচ্ছে আরো বেশি। এই সময়ে একটুখানি প্রশান্তি পেতে অনেকেই দিনে-রাতে একাধিকবার গোসল করছেন। কেউবা বালতির পানির সঙ্গে বরফ মিশিয়ে সেই পানি গায়ে ঢালছেন। প্রশ্ন হচ্ছে এতে কি গরম আদৌ কমে? গরমে সুস্থ থাকতে ঠান্ডা না নরমাল পানিতে গোসল করবেন? বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে। গরমের দুর্ভোগ যেন কিছুতেই কমছে না। বিশেষ করে যাদের কাজের সূত্রে প্রতি দিন বাড়ি থেকে যেতে বের হতে হয়, তাদের রীতিমতো কাহিল দশা। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে এই কষ্ট। গরমের চোটে অনেকেই গোটা দিনে বেশ কয়েক বার গোসল করতে বাধ্য হন। নয়তো সারা গা চিটটি করে। তাইতো দিনের শুরুতে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও অনেকে গোসল করেন। এছাড়া অনেকে সুযোগ পেলে দিনের মাঝেও বেশ কয়েকবার গোসল করেন। এমনকি রাতে রাতে এসি চালিয়ে ঘুমোলেও যেন ঘুমোনোর আগে গোসল করাটা জরুরি। এই পরিস্থিতিতে গোসলের সময় একটি নিয়ম মানলেই অনেক ঝামেলা মেটে। গরমের ভীষণ কষ্ট থেকে রেহাইও পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত এই গরমে প্রায়ই ট্যাংকের পানি ভীষণ গরম হয়ে থাকে। সেই জানে গোসল করা যেন গায়ে আগুন ঢালার শামিল। তবুও অন্য উপায় না থাকলে ওই পানি দিয়েই গোসল করতে হয়। অনেকে আবার গোসলের পানি আগে থেকেই বালতিতে ভরে রাখেন। তাতে পানি কিছুটা ঠান্ডা হয়। তবে ঠান্ডা পানি না গরম পানি? এই ঠাটাপোড়া গরমে কোনো পানিতে গোসল করা সবচেয়ে ভালো? বিজ্ঞানীরা কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যরকম কথাই বলছেন। বিশেষজ্ঞদের কথায়, গরম যতই পড়ুক এই সময়ে নরমাল পানিতে গোসল করার সুফলও আছে অনেক। গরম পানি বা নরমাল পানি শরীরের জন্য ভালো। বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কক্ষ তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করলে ঘুমটা ভালো হয়। কেন না, এই পানি শরীরের পেশির ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। পেশির মধ্যে জমে থাকা ক্লান্তি সহজেই দূর হয়। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। তাই এই গরমে নরমাল পানি দিয়ে গোসল রতে যতই অস্বস্তি হোক, কিছুটা তাপ সহ্য করে গোসল করে নেওয়াই ভালো। এতে আখেরে শরীরই ভালো থাকে।