গাঁটের যন্ত্রণা সারাতে হলুদ ব্যবহার
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
হাঁটতে গেলেই আঙুল আর গোড়ালিতে শুরু হয় ব্যথা। কিংবা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে দেখা দেয় অসহ্য যন্ত্রণা। এমন কিছু উপসর্গ কাবু করেন অনেককে। কর্মব্যস্ততা, খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম যেসব অসুখকে আরো বাড়িয়ে দেয়- তার মধ্যে অন্যতম একটি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে গাঁটের যন্ত্রণা বাড়ে। পাশাপাশি দেখা দেয় কিডনির সমস্যা, ওবেসিটির মতো সমস্যা। খাওয়াদাওয়ায় একটু রাশ টানলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের উপসর্গ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন ধারণা নেই। কোন উপসর্গগুলো দেখা দিলে সতর্ক হবেন যেনে নেয়া যাক-
ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া মানে যে কেবল ডায়াবেটিস এমনটা নয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেও এমন উপসর্গ দেখা যায়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তও বের হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণও হতে পারে এটি। শরীরে এমন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে হলুদ। এই মশলায় কারমিউমিন নামে একটি বিশেষ যৌগ থাকে, যার প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। রোজকার খাদ্যের তালিকায় তাই হলুদ রাখলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্যথার ওষুধ খেলে শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই ওষুধের পরিবর্তে রোজ কাঁচা হলুদ কিংবা হলুদ গুঁড়ো বেশি মাত্রায় খেয়ে দেখতে পারেন। হলুদ চা : চার কাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে ওই মিশ্রণের মধ্যে আদার রস, লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে পান করুন।
কাঁচা হলুদ আর মধু : সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ আর মধু খেলেও উপকার পেতে পারেন। এটি খেতে সুস্বাদু না হলেও বেশ স্বাস্থ্যকর। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে কোন খাবার খাবেন, কোনটি খাবেন না? ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোল্ড ড্রিংকস, মদ খাওয়া যাবে না। বাদ দিতে হবে ধূমপানের অভ্যাসও। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়শ, টমেটোর মতো সবজি না খাওয়াই ভালো।
দুধ হলুদ : দুই কাপ দুধ ভালো করে গরম করে তার সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বৃদ্ধি করতে এর সঙ্গে একটু গোলমরিচ কিংবা কেশর মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন ধরনের ডালও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীর জন্য ক্ষতিকর। বরং খাদ্য তালিকায় রাখুন লেবু, মোসাম্বি, কমলালেবুর মতো টকজাতীয় ফল। পাশাপাশি চেরি, কাজু, মাখানা খেলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।