শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তিন সংস্থার অধীনস্থ ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি লোকসানে আছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এই ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকির মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বিকালে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
শিল্পমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে ৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্য চারটি প্রতিষ্ঠান লোকসানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো; টঙ্গীর এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ রেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড, তেজগাঁওয়ের ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড, টঙ্গীর ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড। এই লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার আলাদা করে ভর্তুকি দিতে হয় না। বিএসইসির অন্য প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে লোকসানি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। বিএসইসির মতো লোকসানে চলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের ১৬টির মধ্যে ১৫টি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৮০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।
পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) ৯টি প্রতিষ্ঠানের সব কয়টি প্রতিষ্ঠান লোকসানে রয়েছে। লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল), আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল), যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসি (জিপিএফপিএলসি), ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএমএল), বাংলাদেশ ইন্সুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিআইএসএফএল), উসমানিয়া গ্লাসশিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউজিএসএফএল)।
লোকসানের কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী জানান, ইউরিয়া সার কারখানাগুলো প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাসের অপ্রতুলতায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় কারখানাগুলো লোকসানে আছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে টিএসপিসিএল এবং ডিএপিএফসিএল মোট ১ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছে।