বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট। সংক্ষেপে অনেক শিক্ষার্থীর কাছে ‘বিআইসিএলসি’ বলে পরিচিত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ২৫ জন শিক্ষার্থী, দুইটি শ্রেণি কক্ষ ও তিনজন শিক্ষক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় ইনস্টিটিউটটির। এখানে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি শিল্প- সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন এবং গবেষণার সূযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে ছয়টি ব্যাচের (৪৭-৫২) শিক্ষার্থী পেয়েছে ইনস্টিটিউটটি। নতুন আরো একটি ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি, বাড়েনি শ্রেণিকক্ষের সংখ্যাও। ২০২৩ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নূরুল আলম ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। প্রথম ব্যাচটির (৪৭তম) মাস্টার্স ২০২৩ এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি শুরু হয়েছে মাস্টার্সের শ্রেণি কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সময়মতো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন না হওয়ায় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা ও টিউটোরিয়ালের নির্ধারিত কোনো রুটিন নেই। প্রায়শই ক্লাস বাতিল করা হয়। এছাড়া সময়মতো টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় না। নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম না চলায় সেশনজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সময়মতো স্নাতক শেষ না হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম জানান, আমরা এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছি। আগামী ১৯ মে নিয়োগ বোর্ড বসছে। এতে আবেদন করেছেন ২ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে থেকে বাছাই করে তিনজনকে নিয়োগ দেয়া হবে। আমরা আশা করছি, ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারব।
এছাড়া শ্রেণিকক্ষ সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো জমি বা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলেই আমরা ভবন নির্মাণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নূরুল আলম, রেজিস্ট্রার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড আলমগীর কবীরকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।