ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রূপপুর এনপিপিতে আন্তর্জাতিক ‘স্মৃতি উদ্যান’ ইভেন্ট

রূপপুর এনপিপিতে আন্তর্জাতিক ‘স্মৃতি উদ্যান’ ইভেন্ট

ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (এনপিপি) আবাসিক এলাকা ‘গ্রিন সিটি’ এলাকায় রসাটম প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও দেশপ্রেম ইভেন্ট ‘স্মৃতি উদ্যান’। বাংলাদেশ এবং হাঙ্গেরিতে প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। রসাটম প্রকৌশল বিভাগ যেসব দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান করছে, সেখানে নিয়মিতভাবে এটির আয়োজন করা হয়।

গতকাল দুপুরে রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়্ রসাটম প্রকৌশল বিভাগের এমপ্লয়ি ও স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রিন সিটি এলাকায় ২৮টি ফার গাছের চারা রোপণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যেসব রুশ এবং বাঙালি আত্মত্যাগ করেন, তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী হিরোদের আমরা এই ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আজকে রোপণকৃত এই বৃক্ষগুলো শুধুমাত্র আমাদের পূর্ব-পূরুষদের বীরোচিত কাজকেই স্মরণ করিয়ে দেবে না, একই সঙ্গে পরিবেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। পরিবেশ সুরক্ষার ব্যাপারে রসাটম সর্বদাই যত্নশীল। তাই আমরা বিভিন্ন পরিবেশ উদ্যোগের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সহযোগিতা করে আসছি।’ ভূতপূর্ব সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতির পুনর্নির্মাণে সোভিয়েত ইউনিয়ন এগিয়ে এসেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সোভিয়েত নাবিকরা চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপসারণে কাজ করে এবং বিধস্ত জাহাজগুলোকে পানির নীচ থেকেও উদ্ধার করে। এটি ছিল বিদেশে পরিচালিত সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন, যার সম্পর্কে অনেকেরই খুব একটা জানা নেই।

একটি রুশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্মৃতি উদ্যান ইভেন্ট আয়োজনের সূচনা ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী যোদ্ধাদের স্মৃতিকে স্মরণ করতে আয়োজিত এই উদ্যোগে সহায়তা করছে রুশ প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেল বন এজেন্সি।

এই উদ্যোগের অধীনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে একটি করে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ গাছের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক শহীদের সবুজ স্মৃতিফলক হিসেবে প্রতিটি গাছকে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের আরেকটি অন্যতম লক্ষ্য হলো, বন সম্পদের রক্ষা এবং পুনরুদ্ধার, যা বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করবে। রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর এই ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। সারাবিশ্বের ৫০টির অধিক দেশের স্বেচ্ছাসেবক এই কাজের সাথে জড়িত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত