সুসংবাদ প্রতিদিন
যশোরে কালো ধান চাষে সফলতা
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বাংলাদেশের মাটিতে দেশীয় ফল-ফলাদি ও ফসলের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে অনেক বিদেশি জাতের ফলমূল ও ফসলের। অনেক কৃষি উদ্যোক্তা আগ্রহ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি জাতের ধান চাষ করেও ভালো ফলন পেয়েছেন। এমনই এক কৃষি উদ্যোক্তা যশোর সদর উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া নারায়ণপুর গ্রামের মাহবুবুল করিম বিপলু। পেশায় তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। কৃষি কাজে আগ্রহ তার বরাবরই। এই আগ্রহ নিয়ে তার গ্রামের হরিণার বিলে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন ঔষধি গুণসম্পন্ন ব্ল্যাক রাইস (কালো চালের ধান)। এরইমধ্যে তার এই ধানের ভালো ফলন এসেছে। মাহবুবুল করিম বিপলু জানান, হরিণার বিলে তার দেড় বিঘা জমিতে গত তিন মাস আগে তিনি ব্ল্যাক রাইস ধানের চারা রোপণ করেন। এর আগে তিনি তার এক বন্ধুর মাধ্যমে চায়না থেকে ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তার জমির ৮০ শতাংশ ধান কাটার উপযোগী হয়েছে। তিনি জানান, এই চাল জিঙ্কসমৃদ্ধ, এই চালের ভাত গ্রহণে ব্ল্যাড সুগার ও কোলেস্টেরল বাড়ে না ফলে ডায়াবেটিকে আক্রান্ত রোগীরা সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্ল্যাক রাইস চালের ভাত তিন বেলা খেতে পারেন। বাজারে ব্ল্যাক রাইসের চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন সুপার শপে প্রতি কেজি ব্ল্যাক রাইস বিক্রি হয় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। তার জমি থেকে তিনি ৩০ মণ (১২০০ কেজি) ধান উৎপাদনের আশা করছেন। তার দেখাদেখি এই ধান ওই গ্রামের আরও ২-১ জন কৃষক চাষ করছেন। বিশেষ করে বেলে ও দোআঁশ মাটিতে এই ধান ভালো উৎপাদন হয়। তবে মাহবুবুল করিম বিপলুর অভিযোগ, এই ব্ল্যাক রাইস চাষে তিনি যশোর কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি। এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ব্ল্যাক রাইস বিদেশি জাতের ধান। এই ধান মূলত চায়না থেকে আমদানি করা। অনেক কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে এটি চাষ করছেন। আমরা এই মুহূর্তে এই ধান চাষের ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা করছি না। আমরা আগে দেখব কৃষকরা লাভবান হতে পারে কি না এবং ফলন ভালো হয় কি না এগুলো পর্যবেক্ষণ করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।