ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সরবরাহ কমের অজুহাত

প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা

প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা

চট্টগ্রামে সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে সবজির দাম। একইসাথে বেড়েছে ডিমের দামও। বাজারে ডিমের হালি ৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বাজারে সবজির দাম প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে স্থির থাকলেও বর্তমানে সরবরাহ কমেছে গ্রীষ্মকালীন সবজির। এক কেজি বেগুনের দাম ৫০ থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁকরোল-বরবটিরও এমন দর। সস্তা হিসেবে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৫০-৬০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি, দুই নম্বর গেট, আতুরার ডিপো কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে।

নগরীর চকবাজার কাঁচাবাজারে সবজি আর ডিম কিনতে এসেছেন বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, একেকদিন একেক পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা এক প্রকার জিম্মি অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট এসে অভিযান চালায়। এতে দাম কিছুটা কমে আসে। কিছুদিন যেতেই আবারও অন্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহেও ডিম কিনেছি এক হালি ৪০ টাকায়। এই সপ্তাহে কোনো কারণ ছাড়াই ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর জানান, ডিমের দাম আবারও বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের বাড়তি দরে কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। সব মিলিয়ে এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়ছে। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আমরা অভিযানে গেলেই ক্রয়-বিক্রয় রসিদ খতিয়ে দেখি। তবে অধিকাংশ ব্যবসায়ী রসিদ দেখাতে পারেন না। তখন আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে সরেজমিনে নগরীর কয়েকটি বাজাট ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পেঁয়াজের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা ও রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে মিলছে না। নগরের বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম নতুন করে না বাড়লেও সোনালি মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০-৪৮০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায়। এছাড়া বাজারে দুই সপ্তাহ ধরে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও ঘেরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা সোহেল বলেন, এক মাস আগের চেয়ে মাছ কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আড়তে মাছ নেই। যা পাই চড়া দাম। কাস্টমার নিচ্ছে না। মাছ নিয়ে বড় বিপাকে আছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত